Bengal Weather Update: শক্তি বাড়াচ্ছে নিম্নচাপ, বাংলায় দুর্যোগের আশঙ্কা; ভাসবে কোন কোন জেলা?
বঙ্গোপসাগরে তৈরি হবে আরও একটি নিম্নচাপ
আবহাওয়াবিদদের মতে, আগামী ২৭ মে মঙ্গলবার মধ্য বঙ্গোপসাগর এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরের সংযোগস্থলে আরও একটি নিম্নচাপ তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল রয়েছে। এই নিম্নচাপও ২৮ মে-র মধ্যে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে বলে আশঙ্কা। এর ফলে বাংলায় আবহাওয়ার পরিস্থিতি আরও অবনতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকছে।
ভারী বৃষ্টির সতর্কতা—কোন কোন জেলায়?
আলিপুর আবহাওয়া দফতরের সতর্কতা অনুযায়ী, ২৮ মে থেকে উপকূলবর্তী চারটি জেলায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এই জেলাগুলি নিচে দেওয়া হল:
- দক্ষিণ ২৪ পরগনা
- উত্তর ২৪ পরগনা
- পূর্ব মেদিনীপুর
- পশ্চিম মেদিনীপুর
উপরোক্ত জেলাগুলিতে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি এবং ৫০-৬০ কিমি প্রতি ঘণ্টা গতিতে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
দক্ষিণবঙ্গে ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস
আগামী তিনদিন দক্ষিণবঙ্গে বজ্রবিদ্যুৎসহ বৃষ্টি চলবে। দফায় দফায় দমকা হাওয়া ও বজ্রপাতের আশঙ্কা থাকছে। শনিবার কিছুটা স্বস্তি মিললেও রবিবার থেকে বৃষ্টি বাড়বে। ৩০ থেকে ৫০ কিমি প্রতি ঘণ্টা বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইবে, সঙ্গে থাকবে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতও।
বিশেষ করে দক্ষিণের কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, নদিয়া, মুর্শিদাবাদ, বীরভূম—এই সব জেলাতেও বজ্রবিদ্যুৎসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা প্রবল রয়েছে। বুধবার থেকে শুরু হবে প্রবল বৃষ্টি। বৃহস্পতি এবং শুক্রবার দক্ষিণবঙ্গের অধিকাংশ জেলায় ভারী বৃষ্টি হতে পারে।
উত্তরবঙ্গেও সতর্কতা জারি
উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতেও আবহাওয়া খারাপ থাকবে। আগামী সোমবার পর্যন্ত ঝড়-বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েছে। ৩০ থেকে ৫০ কিমি প্রতি ঘণ্টা গতির দমকা হাওয়া বইবে এবং হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতও হবে। দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার সহ আটটি জেলাতেই রবিবার ও সোমবার ঝড়-বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
কী বলছে আবহাওয়া দফতর?
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুসারে, এই নিম্নচাপের ফলে সৃষ্ট প্রবল বৃষ্টিপাতের কারণে নদীগুলিতে জলস্তর বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। নিচু এলাকাগুলি জলমগ্ন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এর পাশাপাশি বজ্রপাত এবং গাছ পড়ে যাওয়ার মত দুর্ঘটনার আশঙ্কাও থেকে যাচ্ছে। তাই সাধারণ মানুষকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে আবহাওয়া দপ্তর কর্তৃক।
নিম্নচাপ মোকাবিলায় প্রশাসনের প্রস্তুতি
এদিকে রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর এবং বিভিন্ন জেলা প্রশাসন ইতিমধ্যেই সতর্কতা জারি করেছে। অন্যদিকে উপকূলবর্তী এলাকায় মাইকিং করা হচ্ছে, মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে না যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি উদ্ধারকারী দল ও স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রস্তুত রাখা হয়েছে যেকোনো জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য।
সতর্কতা এবং পরামর্শ
- অত্যাবশ্যক প্রয়োজনে বাইরে বেরোনো এড়িয়ে চলুন।
- বজ্রপাতের সময় খোলা জায়গা ও গাছপালা থেকে দূরে থাকুন।
- ঘর থেকে বের হওয়ার আগে আবহাওয়ার আপডেট দেখে নিন।
- মাছ ধরতে সমুদ্রে না যাওয়ার পরামর্শ মৎস্যজীবীদের জন্য।
- নিম্নচাপের সময় বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন।