DA Case in Supreme Court 2025 :ফের ডিএ মামলার নয়া মোড়, হতাশ রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা!
ডিএ মামলার নতুন মোড়: বেঞ্চ পরিবর্তন
এই গুরুত্বপূর্ণ ডিএ মামলাটি এখন বিচারপতি সঞ্জয় করোল এবং মনোজ মিশ্রর বেঞ্চে পাঠানো হয়েছে। এটি তালিকাভুক্ত হয়েছে সুপ্রিম কোর্টের ১৫ নম্বর কোর্টে, যেখানে মামলাটি রয়েছে ক্রমতালিকায় ৪০ নম্বরে।
যদিও ১৪ মে, বুধবার দুপুর ২টোর মধ্যে শুনানির কথা, তবে মামলাটির ক্রমনম্বর এতটাই পিছনে যে সেদিনই শুনানি হওয়ার সম্ভাবনা অত্যন্ত কম।
এই নিয়ে ১৭ বার পিছিয়েছে শুনানি! কবে শেষ হবে এই অপেক্ষা?
আমরা সকলে জানি, ২০২২ সালের ২৮ নভেম্বর প্রথমবার সুপ্রিম কোর্টে ওঠে এই মামলা। এরপর থেকে এখন পর্যন্ত ১৭ বার শুনানি পিছিয়েছে।
- ৮ মে – শুনানি নির্ধারিত ছিল ৫ নম্বর কোর্টে
- তবে রাজ্যের তরফে আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি জানান, তিনি অন্য মামলায় ব্যস্ত
- ফলে আবার পিছিয়ে যায় মামলার দিন, নির্ধারিত হয় ১৪ মে
আগের ও বর্তমান বেঞ্চ: তফাৎ কোথায়?
আগে ছিল বিচারপতি বিক্রম নাথ, সঞ্জয় করোল ও সন্দীপ মেহতার বেঞ্চ। এখন শুধু করোল এবং মিশ্র।
তবে ভালো খবর হলো, বিচারপতি করোল আগেও ছিলেন, এখনও আছেন। তাই অনেকে মনে করছেন, বেঞ্চ বদল হলেও মামলার মূল গতি থেমে থাকবে না বলে মনে করা হচ্ছে । তবে এই পরিবর্তনের জেরে আবারও অনিশ্চয়তার মেঘ জমেছে।
ডিএ নিয়ে আইনজীবীদের বক্তব্য: এবার কি সত্যিই শুনানি হবে?
আইনজীবী বিক্রম বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “শুধু বেঞ্চ পরিবর্তন হয়েছে, বিচারপতি করোল আগেও ছিলেন। আমরা আশাবাদী, বুধবার শুনানি হবেই।”
আইনজীবী ফিরদৌস শামিমও বলেন, “গতবার আমরা দৃঢ়ভাবে বিরোধিতা করেছিলাম। এবার আদালত নিশ্চয়ই আমাদের যুক্তি শুনবে।”
এই মামলার পেছনের রহস্য কী?
- ২০২২ সালের মে মাসে সরকারি কর্মচারীদের একাংশ কেন্দ্রীয় হারে ডিএ ও বকেয়া দাবিতে কলকাতা হাই কোর্টে মামলা করেন।
- ২০ মে ২০২২ – হাই কোর্ট রাজ্যকে ৩১% হারে ডিএ দিতে নির্দেশ দেয়।
- রাজ্য চ্যালেঞ্জ করে এই রায়কে সুপ্রিম কোর্টে।
- ৩ নভেম্বর মামলা দায়ের হয়, ২৮ নভেম্বর হয় প্রথম শুনানি।
কর্মচারীদের ক্ষোভ: ডিএ কোথায়, রায় কোথায়?
- মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একাধিকবার ডিএ হাইক ঘোষণা করলেও তা কেন্দ্রীয় হারের তুলনায় এখনও অনেক কম।
- কর্মচারীদের একাংশ মনে করেন, মামলাটি বারবার পিছিয়ে দেওয়ার পেছনে রাজ্য সরকারের পরিকল্পিত ভূমিকা রয়েছে।
- শুনানির আগে রাজ্যের পক্ষ থেকে বারবার সময় চাওয়ার ফলে সরকারি কর্মচারীদের মধ্যে ক্ষোভ ও হতাশা দিন দিন বেড়েই চলেছে।
গুরুত্বপূর্ণ তথ্য এক নজরে
- ১৪ মে বুধবার নির্ধারিত দিন শুনানির
- ১৫ নম্বর কোর্টে ৪০ নম্বরে মামলার অবস্থান
- ১৭ বার পিছিয়েছে শুনানি
- মামলার সঙ্গে জড়িত লক্ষাধিক কর্মচারীর জীবন ও ন্যায্য অধিকার
আড়াই বছর কেটে গেল, অথচ সরকারি কর্মচারীরা এখনও সুপ্রিম কোর্টের রায়ের অপেক্ষায়।
নতুন বেঞ্চের সামনে এটাই সবার চাওয়া – যেন আর বিলম্ব না হয়, যেন ন্যায্য রায় পাওয়া যায়। এই মামলার নিষ্পত্তি শুধু আর আইনি বিষয় নয়, বরং এটি লাখ লাখ কর্মচারীর পরিবারের জীবনের সঙ্গে গভীরভাবে জড়িত।
এখন শুধু প্রশ্ন একটাই – ১৪ মে কি সত্যিই শেষ হবে এই অপেক্ষা?
সাগরে ফুঁসছে ঘূর্ণবাত! ফের জেলায় জেলায় ঝড়বৃষ্টি! দেখুন আজকের আবহাওয়া – WB Weather Update Today