এই বছর রাজ্যজুড়ে তীব্র দাবদাহ দেখা দেয় মে মাসের শেষদিক থেকে জুনের শুরু পর্যন্ত।এর ফলে স্কুলে গ্রীষ্মকালীন ছুটি শেষে শুরু হওয়া ক্লাস আবার ব্যাহত হয়, কারণ অতিরিক্ত গরমে আরও ২ দিন অতিরিক্ত ছুটি ঘোষণা করেছিল রাজ্য সরকার। এই সিদ্ধান্তের ফলে অনেক অভিভাবক আশা করেছিলেন যে ছুটি আরও বাড়বে বা বর্ষার সময়ে ছুটি ঘোষণা করা হতে পারে। কিন্তু এদিন নবান্নর তরফ থেকে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে – রাজ্যে নতুন করে ছুটি নিয়ে সরকারের এই সিদ্ধান্ত। বর্তমানে আবহাওয়া দফতরের তথ্য অনুযায়ী, সোমবার থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন অংশে তাপমাত্রা স্বাভাবিকের তুলনায় কমতে শুরু করেছে এবং মঙ্গলবার থেকে রাজ্য জুড়ে প্রবেশ করতে চলেছে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু। এর অর্থ, রাজ্যে শুরু হচ্ছে বর্ষা আবির্ভাব। এমন পরিস্থিতিতে শিক্ষা দফতরের যুক্তি, যেহেতু আবহাওয়া স্বস্তিদায়ক হয়ে উঠছে, তাই ছাত্রছাত্রীদের আর বাড়তি ছুটি দেওয়ার কোনও কারণ নেই। আপাতত কোনো ছুটির বিষয়ে ভাবছে না শিক্ষা দপ্তর। এদিকে অনেক শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মনে প্রশ্ন জাগছে – যদি গরমে অতিরিক্ত ছুটি দেওয়া হয়, তবে বর্ষাতেও কি ছুটি পাওয়া উচিত নয়? তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, বর্ষাকালে সামান্য অসুবিধা হলেও তা পড়াশোনার ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি করে না, যতটা গ্রীষ্মের দাবদাহ করে থাকে। তাই এই মুহুর্তে ছুটি নিয়ে সেই ভাবে ভাবা হচ্ছে না। এদিন রাজ্যের শিক্ষা পর্ষদও স্পষ্ট করে দিয়েছে যে, বর্ষার কারণে ছুটি দেওয়ার কোনও পরিকল্পনা আপাতত নেই। স্কুলগুলি স্বাভাবিক নিয়মেই চলবে। যদিও তীব্র গরমে অনেক অভিভাবক দুশ্চিন্তায় ভুগছিলেন। তাই সন্তানদের স্কুল পাঠানো নিয়ে তৈরি হয়েছিল দ্বিধা। তবে বর্তমানে যেহেতু তাপমাত্রা কমেছে, তাই সেই উদ্বেগ কিছুটা হলেও স্বাভাবিক হচ্ছে। রাজ্যের শিক্ষা আধিকারিকদের মতে, শিক্ষা ব্যবস্থাকে স্বাভাবিক রাখতে হলে, আবহাওয়ার সামান্য পরিবর্তনের ভিত্তিতে বারবার ছুটি দেওয়া উচিত হবে না। বর্ষাকাল মানেই জলের জমাট, রাস্তায় জল জমা, স্কুলে পৌঁছানোতে অসুবিধা – এসব সমস্যা থাকেই। তবে শিক্ষা দফতরের দাবি, প্রতিটি স্কুলকে প্রস্তুত থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যাতে বর্ষাকালীন পড়াশোনায় কোনও সমস্যা না হয়। এর জন্য পর্যাপ্ত জলনিকাশী ব্যবস্থা, ছাউনি মেরামতি এবং রুটিন ক্লিনিং – এইসব ব্যবস্থার মাধ্যমে বর্ষাকালীন সমস্যা মোকাবিলায় প্রস্তুত রাজ্য শিক্ষা দফতর। তবে যদি ভবিষ্যতে বন্যা বা প্রাকৃতিক দুর্যোগের মতো কোনো অবস্থা তৈরি হয়, তাহলে স্থানীয় প্রশাসনের অনুমোদন সাপেক্ষে ছুটি দেওয়া হতে পারে। তবে তা স্থান ভেদে হতে পারে।গরম পড়তেই অতিরিক্ত ছুটি, কিন্তু তারপরে?
সম্পর্কিত পোস্ট
আইটি সেক্টরে ৬৫ হাজার নতুন কর্মসংস্থান, ইনফোসিস ও ক্যাপজেমেনি দারুণ পদক্ষেপ - IT Sector Huge Vacancy 2025তাপমাত্রা কমেছে, এসেছে বর্ষার পূর্বাভাস
বর্ষার ছুটি – বাস্তব না কল্পনা?
অভিভাবকদের দুশ্চিন্তা এবং বাস্তব চিত্র
বর্ষা আসছে – প্রস্তুত স্কুল প্রশাসন