প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে সবুজ সংকেত! কবে আবেদন শুরু? জেলা না রাজ্য ভিত্তিক? দেখুন – WB Primary Interview News
পশ্চিমবঙ্গে প্রাথমিক ইন্টারভিউ এর নিয়মে হতে পারে পরিবর্তন, জেলা বা রাজ্য ভিত্তিক নিয়ে সংশয়! কবে আবেদন শুরু হবে? দেখুন বিস্তারিত
WB Primary Interview News: রাজ্যের দীর্ঘ কয়েক বছর পর প্রাথমিকে ফের শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে চলেছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। এই নিয়ে ইতিমধ্যে সবুজ সংকেত পাওয়া গেছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ কর্তৃক। সব থেকে বড় কথা হলো দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ থাকলেও অবশেষে দীর্ঘ প্রতীক্ষার দিন শেষ হতে চলেছে। জানা গিয়েছে নভেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগের ইন্টারভিউ এর জন্য আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হতে চলেছে পর্ষদ কর্তৃক। তবে এখনো পর্যন্ত অফিশিয়াল নোটিশ জারি করা হয়নি। সূত্র মারফত খবর এই নিয়োগ প্রক্রিয়া অতি শীঘ্রই সম্পন্ন করা হবে বলে জানা যায়।

সম্পর্কিত পোস্ট
সুখবর! পুরুষদের মাসে 5,000 টাকা দিচ্ছে মমতা সরকার, কীভাবে আবেদন করবেন? দেখুন বিস্তারিত - WB Govt Shramshree Schemeসাধারণত ২০২২ সালে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা হলে তার ফলাফল ২০৩০ সালের প্রথম দিকে প্রকাশ করা হয়। এক্ষেত্রে প্রথম দিকে প্রায় দেড় লক্ষের মতো পরীক্ষার্থী এই শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেও এরপর সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মতো বিএড এবং অন্যান্য দু বছরের কম প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্রার্থীদের বাতিল করা হয়। ফলে এই অংকটা দাঁড়াই প্রায়ই ৫০ হাজারের কাছাকাছি। বর্তমানে এই ৫০ হাজারের সঙ্গে আরও যুক্ত হয়েছে প্রায় ৭০০০ নতুন অবশ্যই শিক্ষক যারা ২০২৩ প্রাথমিক শিক্ষক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন। সর্বমোট প্রায় সাত হাজারের মতো নতুন প্রার্থী এক্ষেত্রে ইন্টারভিউ দিতে চলেছেন।
সাধারণত টেট পরীক্ষার ক্ষেত্রে মোট ১৫০ নম্বরের মধ্যে সাধারণ প্রার্থীদের ৯০ নম্বর এবং সংরক্ষিতদের জন্য ৮২ নম্বর পেলে পাস করার সুযোগ করে দেওয়া হয়। কিন্তু শুধু এর উপর ভিত্তি করে নিয়োগ প্রক্রিয়ার সম্পূর্ণ হয় না। এক্ষেত্রে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে আরও এক নতুন আবেদন করতে হয় সেই সমস্ত পাশ করা প্রার্থীদের। এক্ষেত্রে মোট ৫০ নম্বরের ভিত্তিতে ইন্টারভিউ এবং অন্যান্য বিষয়বস্তুগুলি যাচাই করা হয়ে থাকে। মোট ৫০ নম্বরের মধ্যে মাধ্যমিকে ৫, উচ্চমাধ্যমিকে ১০,ডিএলএটে ১৫, টেট পরীক্ষায় ৫, এক্সট্রা কারিকুলামে ৫ এবং ইন্টারভিউ ও ডেমোতে মোট ১০ নাম্বার এর ভিত্তিতে নিয়োগ প্রক্রিয়ার সম্পূর্ণ করা হয়।
তবে এইবারে ইন্টারভিউ প্রক্রিয়ায় অনেক সংখ্যক প্রার্থী সুযোগ নিতে চলেছে যেখানে আগের তুলনায় শূন্য পদ অনেক কম রয়েছে। অর্থাৎ যদি দেখা যায় অতীত শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে খুব কম সংখ্যক এমন ঘটনা ঘটেছে যেখানে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে ইন্টারভিউ এর প্রার্থী এবং শূন্য পদের রেশিও এত বেশি। সব মিলিয়ে এবার হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের মাধ্যমে শিক্ষকদের নিজের জায়গা করে নিতে হবে।
এদিকে পর্ষদ কর্তৃক প্রায় এক মাস আগে একটি ইন্ডিকেটিভ নোটিফিকেশন জারি করেছিল যেখানে বলা হয়েছিল প্রায় 13 হাজার 421 শূন্য পদে নিয়োগ করা হবে। যদিও এই শূন্যপদ মানতে রাজি নন সমস্ত টেট প্রার্থীরা। তবে এখনো পর্যন্ত পূর্ণ নোটিশ প্রকাশ হয়নি সেক্ষেত্রে তারা আশাবাদী হয়ে রয়েছে বলে জানা যায়। তবে এও জানা যায় যদি ভ্যাকেন্সি না বাড়ানো হয় তাহলে ভবিষ্যতে সেই বিষয় নিয়ে রাজপথে নামতে চলেছে তারা।
তবে এই বছরে নিয়োগের ক্ষেত্রে অনেকগুলি বিষয় এখনো পর্যন্ত ধোয়াশার মধ্যে রয়েছে। একদিকে যেমন শূন্য পদ সংখ্যা অনেক কম অন্যদিকে প্রার্থীর সংখ্যা অনেক বেশি রয়েছে। তাই এই শূন্য পদ যদিও মানতে রাজি নন সেই সমস্ত প্রার্থীরা, বারবার এ নিয়ে রাজপথে নামলেও তাদের এখনো পর্যন্ত স্পষ্টভাবে কিছু জানানো হয়নি। অন্যদিকে জানা যাচ্ছে জেলাভিত্তিক হিসেবে ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে। তবে এই বিষয়ে এখনো পর্যন্ত অফিসিয়ালি কোনরকম ঘোষণা করা হয়নি। যদি এমনটা ঘটে তাহলে বেশ কিছু নতুন পরিবর্তন আসতে পারে বলে জানা যাচ্ছে।
তবে আগামী কয়েকদিনের মধ্যে পূর্ণ নোটিফিকেশন জারি হলে এই বিষয়ে স্পষ্ট ধারণা পাবেন সমস্ত প্রার্থী বোন।



