PNB, SBI ও BOB ব্যাংকের বিরাট পদক্ষেপ! একাউন্ট থাকলে অবশ্যই দেখুন, পড়বে বিরাট প্রভাব – Bank New Rule 2025

দেশের সর্ববৃহৎ ব্যাংকগুলির বিরাট পদক্ষেপ, এর জন্য প্রভাব পড়তে চলেছে সাধারণ জনজীবনে। আপনার যদি এই ব্যাংকে একাউন্ট থেকে থাকে তাহলে এই প্রতিবেদনটি আপনারই জন্য। কি এমন পদক্ষেপ নিল সেই সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে অবশ্যই শেষ পর্যন্ত পড়ুন

Bank New Rule 2025: ব্যাংক গ্রাহকদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ খবর, অর্থ মন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী দেশে থাকবে মাত্র ৪ টি সরকারি ব্যাংক। তাই যে সমস্ত গ্রাহকদের ব্যাংকে আর্থিক লেনদেন রয়েছে তারা সচেতন হোন। কারণ পূর্বে দেশে ১২টি ব্যাংকছিল যা কমিয়ে চারটি করা হবে। এই চারটি বৃহৎ ব্যাংকের মাধ্যমেই ভারত সরকার ব্যাংকিং পরিষেবা পরিচালিত করবেন। তাই আপনার এবং আপনার পরিবারে যদি অন্যান্য ব্যাংকে আর্থিক লেনদেন থাকে তাহলে প্রতিবেদনটি আপনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। আজকের প্রতিবেদনে ভারত সরকারের ব্যাংকিং ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত সম্পর্কিত তথ্য আলোচনা করতে চলেছি। এখানে জানাতে চলেছি ব্যাংক একীভূতকরণের কারন, পূর্বে ভারতবর্ষে কতগুলো ব্যাংক ছিল এবং বর্তমানে কোন চারটি সরকারি ব্যাংক থাকবে, যাদের অন্য ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট রয়েছে তাদের কি করনীয় প্রভৃতি তথ্য।

Bank New Rule 2025

সম্পর্কিত পোস্ট

অবশেষে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ শুরু! টেট পাশ ও ডিএলএড থাকলে সুযোগ নিয়ে ফেলুন - Primary Teachers Recruitment

ব্যাংক একীভূতকরণের কারন:

ভারতে আগে মোট ২৭টি রাষ্ট্রায়ত্ত (Public Sector) ব্যাংক ছিল। দীর্ঘদিন ধরে এসব ব্যাংকের অনেকগুলোর সমস্যা তৈরি হয়েছিল যথা-

  • • খেলাপি ঋণ (NPA) বেশি।
  • • মূলধন ঘাটতি।
  • • প্রশাসনিক দুর্বলতা।
  • • প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে থাকা প্রভৃতি।
  • তাই ভারত সরকার (বিশেষ করে ২০১৭-২০২০ সময়কালে) ধাপে ধাপে এসব ব্যাংক একীভূত (Merger) করার সিদ্ধান্ত নেয়, যাতে ব্যাংকগুলো শক্তিশালী, কার্যকর ও প্রতিযোগিতামূলক হয়।

কত গুলো ব্যাঙ্ক একীভূত হয়ে চলেছে?

আমাদের দেশে পূর্বেও বহু ব্যাংক একীভূতকরণ হয়েছে। স্বাধীনতার পরবর্তী সময় থেকে ধীরে ধীরে দেশের ব্যাংকের সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে থাকে। এই বৃদ্ধি পাওয়া ব্যাংকগুলো নিয়ন্ত্রিত করতে একাধিক সময় সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছে। তাই কিছু ব্যাংকগুলোর সরকারিকরণ করা হয়েছে। খেলাপি ঋণ (NPA) বেশি, মূলধন ঘাটতি, প্রশাসনিক দুর্বলতা, প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে থাকা প্রভৃতি কারণে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছে। ব্যাংকের নিয়ম-কানুন RBI নির্ধারিত করলেও নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হচ্ছে না। একাধিক সময় ব্যাংকগুলো আরবিআই এর নিয়ম কানুন মেনে চলছেন না। পরবর্তী বিভিন্ন সময় ব্যাংকের কার্য পরিচালনা ছাড়াও অন্যান্য স্বার্থে ব্যাংকগুলো একি কারণ করা হয়েছে। ২০১৯ সালের আগস্ট মাসে সরকার চারটি বড় বড় সরকারি খাতের ব্যাঙ্কগুলোকে একীভূতকরণ করেছিল। এর ফলে ব্যাঙ্ক সংখ্যা ২৭টি থেকে নেমে ১২টিতে দাঁড়ায়। এই একীভূতকরণ ১ এপ্রিল, ২০২০ থেকেই কার্যকর হয়েছে। এবারে পুনরায় ব্যাংগুলো ইউটিউব করণের একীভূতকরণের দিকে নজর দিয়েছে ভারত সরকার। সূত্র মারফত খবর অনুযায়ী বর্তমানে চারটি ব্যাংক থাকতে চলেছে।

অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন বক্তব্য:

বৃহস্পতিবার ১২ তম এসবিআই ব্যাঙ্কিং এবং অর্থনীতি সম্মেলনে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন সরকারি খাতের ব্যাঙ্কগুলোকে একীভূতকরণের ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। অর্থমন্ত্রী বলেছেন এখন দেশে শক্তিশালী এবং নির্ভরযোগ্য সরকারি খাতের ব্যাঙ্ক প্রয়োজন। ব্যাঙ্ক মার্জার ২.০ এর আওতায় ইন্ডিয়ান ওভারসিজ ব্যাঙ্ক, সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া, ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া এবং ব্যাঙ্ক অফ মহারাষ্ট্রকে পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক, ব্যাঙ্ক অফ বরোদা এবং স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার মতো বড় বড় ব্যাঙ্কের সঙ্গে একীভূত করা হতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে। এই উক্ত ব্যাংকগুলো একীভূত করা হলে ভারতবর্ষে মাত্র স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া, পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক, ব্যাঙ্ক অফ বরোদা এবং কানাড়া ব্যাঙ্ক থাকতে চলেছে। ব্যাংকগুলো উক্ত ব্যাংকের সাথে যুক্ত করা হবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। ব্যাংক একইভূত করা হলে দেশের অর্থনীতি অনেকটি মজবুত এবং শক্তিশালী।

আরও পড়ুন

অ্যামাজন দিচ্ছে ঘরে বসে আয় করার সুযোগ! ৩৫,০০০ টাকা পর্যন্ত ইনকাম - Amazon Work From Home

Bongo Sathi

Bongo Sathi is an online Portal, We Daily give You content about Government Update such as Job,Scheme,Latest Announcement, Employment and Education, Banking and Others.

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button