মোবাইল দিয়ে ঘরে বসে আয়, মাসে ইনকাম লাখ টাকার বেশি – Mobile Business Idea
Mobile Business Idea: করোণা মহামারীর পরবর্তী সময় থেকে ডিজিটাল প্লাটফর্মে উপার্জনের একাধিক সুযোগ তৈরি হয়েছে। তাই বিভিন্ন সরকারি এবং বেসরকারি সংস্থাগুলির অনলাইন কাজের প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে। মানুষ এখন ঘরে বসে কাজের মাধ্যমে উপার্জনের নতুন নতুন পথ তৈরি করছে। ঘরে বসে কাজ করার সবচেয়ে বড় সুবিধা হল সময় এবং জায়গার উভয়ের সাশ্রয় ঘটে।
এর পাশাপাশি একই সঙ্গে একাধিক কাজের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার সুযোগ থাকে। শুধুমাত্র একটি স্মার্টফোন, ল্যাপটপ বা কম্পিউটার এবং একটি ভালো ইন্টারনেট কানেকশন থাকলেই যথেষ্ট। তাই আপনারা যারা ঘরে বসে অনলাইনের মাধ্যমে উপার্জন করতে চান তারা প্রতিবেদনটি বিস্তারিত দেখুন। আজকের প্রতিবেদনে আমরা ঘরে বসে একাধিক উপায় কিভাবে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন তার বেশ কয়েকটি কার্যকারী উপায় নিয়ে আলোচনা করতে চলেছি।
সম্পর্কিত পোস্ট
অবশেষে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ শুরু! টেট পাশ ও ডিএলএড থাকলে সুযোগ নিয়ে ফেলুন - Primary Teachers Recruitment
১. কনটেন্ট বিক্রয় মাধ্যমে উপার্জন:
ঘরে বসে সবচেয়ে সহজ এবং গুরুত্বপূর্ণ কাজ হলো কনটেন্ট বিক্রয়। আপনাদের মধ্যে যদি বিভিন্ন কনটেন্ট সংক্রান্ত জ্ঞান থেকে থাকে তাহলে আপনারা এর মাধ্যমে অনায়াসে কয়েক লক্ষ টাকা পর্যন্ত উপার্জন করতে পারবেন। আপনাদের কনটেন্ট রাইটিং বাংলা বা ইংরেজি লেখার দক্ষতা থাকলে 10,000 – 80,000+ প্রতি মাসে উপার্জন করতে পারবেন। গ্রাফিক ডিজাইনিং এর ক্ষেত্রে Photoshop, Illustrator কাজ করে 20,000 – 1 লাখ টাকা উপার্জন করা যায়। ওয়েব ডেভেলপমেন্ট HTML, CSS, JS, PHP, WordPress মাধ্যমে সহজেই ঘরে বসে 30,000 – 1.5 লাখ পর্যন্ত অনায়াসে উপার্জন করতে পারবেন।
২. ইউটিউব চ্যানেল ভিডিও বানিয়ে উপার্জন:
আপনাদের মধ্যে কারো ভিডিও বানানের দক্ষতা থাকলে, সেই ভিডিও ইউটিউবে আপলোডের মাধ্যমে কিছু অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। আপনার যে কাজে দক্ষ রয়েছে, সেই কাজের ভিডিও বানিয়ে ইউটিউবে আপলোড দিতে পারেন। ধরুন অনেকে ভালো রান্না করতে পারে তাহলে সেই রান্নার ভিডিও আপলোড দিতে পারেন, এছাড়াও বাগান পরিচর্যা বিডিও ইউটিউবে আপলোড করতে পারেন। ভিডিও আপলোডের মাধ্যমে একবার মনিটাইজেশন পেয়ে গেলে পরবর্তীকালে ভিডিওতে ভিউজ এর পরিমাণ যত বাড়বে তার থেকে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।
৩. ব্লগিং মাধ্যমে উপার্জন:
ঘরে বসে কাজের তৃতীয় মাধ্যমটি হলো ব্লগিং অর্থাৎ লেখালেখির কাজ। আপনাদের মধ্যে অনেকে রয়েছে যারা ভালো লেখালেখি করতে পছন্দ করেন তারা WordPress বা Blogger সাইটে নিজের একটি সাইট খুলে সেখানে বিভিন্ন বিষয়ে লিখতে পারেন। পরবর্তীকালে আপনার সেই লেখা আর্টিকেল যত মানুষ পছন্দ করবে আপনার জনপ্রিয় তা ততই ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পেতে থাকবে। পরবর্তীকালে গুগল এড সিমের মাধ্যমে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ উপার্জন করে নিতে পারবেন।
৪. সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট:
দেশে এবং বিদেশে এমন বহু জনপ্রিয় সেলিব্রেট রয়েছে যারা নিজেদের সোশ্যাল মিডিয়ার একাউন্ট ম্যানেজমেন্ট জন্য কর্মী নিয়োগ করে থাকেন। সারাদিনের কর্মব্যস্ততার মাঝে তারা সময়ের অভাবে নিজেদের সোশ্যাল মিডিয়া সঠিকভাবে ম্যানেজমেন্ট করতে পারেন না। তাই আপনার যদি সোশ্যাল মিডিয়া যথা facebook youtube instagram এর মত হাইট গুলি পরিচালনার দক্ষ হয়ে থাকেন তাহলে সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট এর মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করে নিতে পারবেন।
৫. অনলাইন রিসেলার:
সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে ঘরে বসে মোবাইল ঘেঁটে অযথা সময় নষ্ট না করে, সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারের পাশাপাশি অনলাইনে রিসেলার হিসেবে বেশ কিছু অর্থ উপার্জন করে নিতে পারেন। আপনি আপনার সোশ্যাল মিডিয়ার সাইটে অনলাইন পণ্যের সাইটগুলো শেয়ার করতে পারেন। আপনার শেয়ার করা সাইট গুলো থেকে কোন অর্ডার করা হলে কোম্পানির তরফ থেকে আপনাকে নির্দিষ্ট পরিমাণে অর্থ প্রদান করা হয়। এভাবেই আপনার বন্ধু-বান্ধবদের মধ্যে অনলাইন সাইটগুলি লিংক শেয়ারের মাধ্যমে ঘরে বসেই বেশ কিছু উপার্জন করে নিতে পারবেন।
ওয়ার্ক ফ্রম হোম কি কি প্রয়োজন:
ডিজিটাল প্লাটফর্মে কাজ করতে চাইলে আপনার বিশেষ কিছু অর্থের প্রয়োজন নেই। এই কাজগুলো করতে একটি স্মার্টফোন/ল্যাপটপ/কম্পিউটার যে কোনো একটি থাকলে যথেষ্ট। এছাড়াও একটি ভালো ইন্টারনেট সংযোগ থাকতে হবে। আপনার অনলাইন কাজের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট একটি স্কিল বা দক্ষতা থাকতে হবে। ফোকাস ও সময় ব্যবস্থাপনার অভ্যাস থাকতে হবে। ধৈর্য ও কনসিস্টেন্সি থাকতে হবে।
উপরে উল্লেখিত দক্ষতাগুলির মধ্যে আপনার একটি দক্ষতা থাকলে, ঘরে বসে অনায়াসে অনলাইন কাজের মাধ্যমে প্রচুর অর্থ উপার্জন করে নিতে পারবেন। তাই আর দেরি কিসের একদম সময় নষ্ট না করে আপনার হাতে থাকা স্মার্টফোনটির মাধ্যমে অনলাইন উপার্জন শুরু করুন।