নিউটাউনে TCS-এর নতুন ক্যাম্পাস, ২৫,০০০ কর্মসংস্থানের বিশাল সুযোগ: জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

নিউটাউনে টাটা কনসালটেন্সি সার্ভিসেস (TCS) গড়ে তুলছে বিশাল আইটি ক্যাম্পাস। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানালেন, এই প্রকল্পে তৈরি হবে ২৫,০০০ কর্মসংস্থানের সুযোগ। জানুন বিস্তারিত

পশ্চিমবঙ্গের তথ্যপ্রযুক্তি খাতে নতুন দিগন্ত খুলতে চলেছে। এবার কলকাতার নিউটাউনে গড়ে উঠতে চলেছে দেশের অন্যতম বৃহৎ তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা টাটা কনসালটেন্সি সার্ভিসেসের (TCS) নতুন অফিস ক্যাম্পাস। এই ক্যাম্পাস তৈরি হলে তৈরি হবে প্রায় ২৫,০০০ কর্মসংস্থানের সুযোগ।

রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই এই সুখবর জানিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, বেঙ্গল সিলিকন ভ্যালি হাবে ২০ একর জমিতে গড়ে উঠবে এই অত্যাধুনিক ক্যাম্পাস। ইতিমধ্যে নিউ টাউন কলকাতা ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (NKDA) জমি হস্তান্তর করে দিয়েছে TCS-কে। মুখ্যমন্ত্রী এই উদ্যোগকে বাংলা এবং রাজ্যের তরুণ প্রজন্মের জন্য এক বড় মাইলফলক হিসেবে বর্ণনা করেছেন।

সম্পর্কিত পোস্ট

পশ্চিমবঙ্গের সরকারি কর্মীদের জন্য টানা ৩ দিনের ছুটি ঘোষণা — বিস্তারিত জানুন -WB August Holiday List

Tcs new campus in new town Kolkata

দুই ধাপে নির্মাণ, আসছে বিশাল কর্মসংস্থানের সুযোগ

মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, এই প্রকল্প মূলত দুই ধাপে তৈরি হবে। প্রথম ধাপে প্রায় ৯ লক্ষ বর্গফুট জায়গাজুড়ে নির্মিত হবে একটি ১১ তলা অফিস ভবন। এই ধাপে প্রায় ৫,০০০ চাকরির সুযোগ তৈরি হবে। পরবর্তী ধাপে আরও ১৫ লক্ষ বর্গফুট সম্প্রসারণ করা হবে, যেখানে কাজের সুযোগ মিলবে অতিরিক্ত ২০,০০০ জনের।

প্রথম ধাপের বিবরণ:

  • জায়গা: ৯ লক্ষ বর্গফুট
  • চাকরির সুযোগ: ৫,০০০ জন

দ্বিতীয় ধাপের বিবরণ:

  • জায়গা: ১৫ লক্ষ বর্গফুট
  • চাকরির সুযোগ: ২০,০০০ জন

পুরো প্রকল্প সম্পূর্ণ হলে TCS-এর এই ক্যাম্পাস হবে প্রায় ২৪ লক্ষ বর্গফুটের, যেখানে মোট ২৫,০০০ কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে।

কেন নিউটাউন?

নিউটাউন ইতিমধ্যেই বাংলার তথ্যপ্রযুক্তি খাতের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে। বিগত কয়েক বছরে এখানে বেশ কয়েকটি বড় সংস্থা বিনিয়োগ করেছে। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, গত তিন বছরে নিউটাউনে ৩০টি তথ্যপ্রযুক্তি প্রকল্পের জন্য জমি বরাদ্দ করা হয়েছে। এছাড়াও, New Town-এর পরিবেশ, আধুনিক পরিকাঠামো, এবং দ্রুত সংযোগের সুবিধা বড় সংস্থাগুলিকে আকৃষ্ট করছে।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জবাব

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এক্স প্ল্যাটফর্মে এই প্রকল্পের কথা জানিয়ে লেখেন, “যারা বাংলাকে বারবার ছোটো করে দেখানোর চেষ্টা করেছে, যারা আমাদের উন্নয়নকে অবজ্ঞা করেছে, তাদের জন্য এটি বড় জবাব। বাংলা এখন উদ্ভাবন, বিনিয়োগ এবং এক নতুন দিগন্তের দিকে এগিয়ে চলেছে।”

তিনি আরও বলেন, “বেঙ্গল মিনস বিজনেস (Bengal Means Business)। আমরা কথায় নয়, কাজে বিশ্বাস করি।”

TCS-এর বিনিয়োগে কী প্রভাব পড়বে?

TCS-এর এই ক্যাম্পাস বাংলার অর্থনীতিতে বড় প্রভাব ফেলবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এটি শুধু চাকরির সুযোগ তৈরি করবে না, বরং নিউটাউনের রিয়েল এস্টেট, হোটেল, পরিবহন, ক্যাফে, রিটেল সহ একাধিক সেক্টরে পরোক্ষ কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করবে।

তাছাড়া, এই ধরনের বড় আইটি প্রকল্প রাজ্যের আইটি রপ্তানি বৃদ্ধিতেও ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে বলে মনে করা হচ্ছে।

রাজ্যের তরুণদের জন্য নতুন আশা

এই প্রকল্প সম্পূর্ণ হলে রাজ্যের হাজার হাজার তরুণ-তরুণীর জন্য নিজ রাজ্যেই কাজের সুযোগ তৈরি হবে। বাইরে কাজ খুঁজতে যাওয়ার প্রবণতা কমবে। অনেকেই মনে করছেন, এটি বাংলার আইটি খাতের জন্য একটি বড় গেম চেঞ্জার হতে পারে।

বিশেষ মন্তব্য

এই উদ্যোগ বাংলার উন্নয়নের ধারাকে আরও মজবুত করবে বলেই মনে করছেন শিল্প মহল। অনেকের মতে, এই প্রকল্প রাজ্যের তরুণদের জন্য এক নতুন দিশা দেখাবে।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছেন, রাজ্য সরকার তথ্যপ্রযুক্তি খাতের সম্প্রসারণে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে। তিনি জানিয়েছেন, বাংলার উন্নয়নকে কেউ আর থামাতে পারবে না।

আরও পড়ুন

প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ ও টেট ফলাফল প্রকাশ নিয়ে সবুজ সংকেত! ২০১০ OBC নিয়ম অনুযায়ী? দেখুন বিস্তারিত - WB Primary Tet 2022-23

🔍 সংক্ষেপে মূল পয়েন্ট:

  • TCS নিউটাউনে ২০ একর জমিতে গড়ছে নতুন ক্যাম্পাস
  • ২৫,০০০ কর্মসংস্থানের বিশাল সুযোগ
  • মুখ্যমন্ত্রী জানালেন এটি বাংলার উন্নয়নের বড় ধাপ
  • নিউটাউন হয়ে উঠছে তথ্যপ্রযুক্তির নতুন ঠিকানা
  • রাজ্যের তরুণদের জন্য বড় আশা

Bongo Sathi

Bongo Sathi is an online Portal, We Daily give You content about Government Update such as Job,Scheme,Latest Announcement, Employment and Education, Banking and Others.

Related Articles

Back to top button