WB Arrear DA: নতুন তারিখে বকেয়া ডিএ স্বীকার করল রাজ্য, সুপ্রিম কোর্টে নতুন হলফনামা
West Bengal Arrear DA: নতুন তারিখে বকেয়া ডিএ স্বীকার করল রাজ্য সরকার, সুপ্রিম কোর্টে নয়া হলফনামা
WB Arrear DA: পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারি কর্মীদের বকেয়া মহার্ঘ ভাতা (ডিএ) নিয়ে দীর্ঘ টালবাহানার পর অবশেষে রাজ্য সরকার তাদের অবস্থান কিছুটা স্পষ্ট করল। যদিও এখনো পর্যন্ত ডিএ বকেয়া দেওয়ার প্রতিশ্রুতি তারা দেয়নি, তবে সুপ্রিম কোর্টে জমা দেওয়া নতুন হলফনামার মাধ্যমে স্পষ্ট করে দিল, কোন সময়ের জন্য তারা ডিএ বকেয়া হিসাবে মেনে নিচ্ছে।আসুন এই প্রতিবেদনে এই সংক্রান্ত আরো বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক
সম্পর্কিত পোস্ট
পশ্চিমবঙ্গের সরকারি কর্মীদের জন্য টানা ৩ দিনের ছুটি ঘোষণা — বিস্তারিত জানুন -WB August Holiday Listরাজ্যের সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা: কোন সময়ের ডিএ বকেয়া?
পশ্চিমবঙ্গ সরকার সুপ্রিম কোর্টে জানিয়েছে, ২০০৮ সালের ১লা এপ্রিল থেকে ২০১৯ সালের ৩১শে ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ের মধ্যে কর্মরত থাকা রাজ্য সরকারি কর্মীদের বকেয়া ডিএ রয়েছে। অর্থাৎ ইতিমধ্যে প্রায় ১১ বছরের সময়কালকে সরকার বকেয়া ডিএ হিসাবে স্বীকৃতি দিয়েছে।
এই ঘোষণার ফলে স্পষ্ট হল, রাজ্য সরকার এই সময়কালের বাইরে অন্য কোনও সময়ের ডিএ বকেয়া হিসাবে গণ্য করতে রাজি না। তবে কবে এই বকেয়া টাকা কর্মীদের হাতে পৌঁছাবে, তা এখনও অনিশ্চিত হয়ে রয়েছে ।
রাজ্যের আপত্তি: ডিএ দেওয়ার সদিচ্ছা নিয়ে প্রশ্ন
এদিকে রাজ্য সরকার সুপ্রিম কোর্টে দাবি করেছে, তারা ইতিমধ্যে কর্মীদের জন্য নানা আর্থিক সুবিধা দিয়েছে। তাই অতিরিক্ত আরও ২৫ শতাংশ বকেয়া ডিএ দেওয়ার জন্য যেন আদালত নির্দেশ না দেয়। এই আবেদন থেকে স্পষ্ট, রাজ্য সরকার আপাতত আর্থিক বোঝা নিতে চাইছেন না।
রাজ্যের এই পদক্ষেপে কর্মীদের মধ্যে হতাশা আরও বেড়েই চলেছে। অনেকেই মনে করছেন, রাজ্য সরকার ইচ্ছাকৃতভাবে এই প্রক্রিয়া বিলম্বিত করা শুরু করেছে।
কর্মীদের জন্য এর গুরুত্ব
- রাজ্য সরকারের অবস্থান স্পষ্ট হয়েছে যে, ২০০৮ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে কর্মরত কর্মীরাই বকেয়া ডিএ পাওয়ার যোগ্য।
- তবে, কবে বকেয়া টাকা দেওয়া হবে, সে বিষয়ে রাজ্য এখনও পর্যন্ত কিছু জানায়নি।
- রাজ্যের এই অনীহার কারণে আদালতের সিদ্ধান্তের উপর এখন পুরোপুরি নির্ভর করতে হচ্ছে সরকারি কর্মীদের।
ডিএ মামলার বর্তমান পরিস্থিতি
তবে ডিএ মামলার ভবিষ্যৎ এখন সুপ্রিম কোর্টের চূড়ান্ত রায়ের উপর নির্ভর করছে। রাজ্যের দাবি, তারা বর্তমানে আর্থিক ভাবে চাপের মধ্যে রয়েছে। অন্যদিকে, কর্মীদের সংগঠন বলছে, এটা তাদের অধিকার। আদালত কোন দিককে মান্যতা দেয়, সেটাই বর্তমানে দেখার বিষয়।
তাই অনেকেই মনে করছেন, আদালতের নির্দেশের পরও রাজ্য সরকার নানা অজুহাত দেখিয়ে বিষয়টি বিলম্বিত করতে চলেছে। তবে আদালতের তদারকি অব্যাহত থাকলে, কর্মীরা শেষ পর্যন্ত ন্যায্য পাওনা পেতে পারেন বলে অনেকের ধারণা।
সাম্প্রতিক পরিস্থিতির সংক্ষেপে
- ইতিমধ্যে রাজ্য সরকার ২০০৮-২০১৯ সময়কালকে ডিএ বকেয়া হিসাবে স্বীকার করেছে।
- টাকা কবে দেওয়া হবে, তা স্পষ্ট করপনি।
- রাজ্য সুপ্রিম কোর্টে আর্থিক অক্ষমতার যুক্তি তুলে ধরেছে।
- বর্তমানে পুরো বিষয়টি আদালতের নির্দেশের উপর নির্ভর করছে।
কী হতে পারে ভবিষ্যতে?
অনেকেই মনে করছেন, ডিএ মামলার শুনানি শেষ না হওয়া পর্যন্ত কর্মীদের ধৈর্য ধরতে হবে। সম্ভবত রাজ্য সরকার আদালতের চাপে পড়ে কিছু অংশ বকেয়া ডিএ দেওয়ার পরিকল্পনা করতেও পারে বলে অনুমান। তবে রাজ্য যদি আর্থিক অক্ষমতার যুক্তিতে জিতে যায়, তাহলে কর্মীদের দীর্ঘদিন অপেক্ষা করতে হতেও পারে।
বকেয়া মহার্ঘ ভাতা নিয়ে রাজ্য সরকারের এই দোলাচলের মধ্যে কর্মীদের হতাশা এবং অনিশ্চয়তা দিন দিন বেড়ে চলেছে। একদিকে রাজ্য সরকার অর্থনৈতিক চাপের কথা বলছে, অন্যদিকে কর্মীরা তাদের ন্যায্য পাওনার জন্য বছরের পর বছর ধরে অপেক্ষা করেই চলেছেন। সুপ্রিম কোর্টের চূড়ান্ত নির্দেশই শেষ পর্যন্ত এই জট খুলতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে। এখন পুরো রাজ্য সরকারি কর্মীদের চোখ আদালতের পরবর্তী শুনানির দিকে।