২৫% বকেয়া মেটাবেনা সরকার? সরকারি কর্মীদের জন্য দুঃসংবাদ! ডিএ মামলায় নয়া পদক্ষেপ রাজ্যের – WB Govt Employees DA Arrear Update
২৫% বকেয়া মেটাবেনা সরকার? সরকারি কর্মীদের জন্য দুঃসংবাদ! ডিএ মামলায় নয়া পদক্ষেপ রাজ্যের - WB Govt Employees DA Arrear Update
WB Govt Employees DA Arrear Update: রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ডিএ বকেয়া নিয়ে বর্তমান মামলায় ফের নতুন মোড় নিয়েছে গোটা পরিস্থিতি। সুপ্রিম কোর্টের স্পষ্ট নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও রাজ্য সরকার ডিএ বকেয়া মেটানো নিয়ে নানা আইনি কৌশল গ্রহণ করতে চলেছে রাজ্য। একইদিকে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে কর্মচারীদের বকেয়া নিরূপণের কাজও এগিয়ে নিয়ে চলেছে সরকার। এই প্রতিবেদনে বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা হলো এই মামলার সাম্প্রতিক সমস্ত তথ্য। নিচে শেষ পর্যন্ত পড়বেন
সম্পর্কিত পোস্ট
মাত্র ২০,০০০ টাকায় TVS Jupiter! মধ্যবিত্তের স্বপ্ন পূরণ করার সুবর্ণ সুযোগ : TVS Jupiter Scooter Offer 2025সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ: ২৫% বকেয়া মেটানোর নির্দেশ
আমরা কমবেশি সকলে জানি সুপ্রিম কোর্ট ইতিমধ্যেই নির্দেশ দিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গের সরকারি কর্মচারীদের ৫ম বেতন কমিশনের আওতায় ২৫% বকেয়া ডিএ দেড় মাসের মধ্যে মেটাতে হবে। শুধু তাই নয়, চার সপ্তাহের মধ্যে এই কাজ কতদূর এগিয়েছে, তার অগ্রগতির রিপোর্টও জমা দিতে বলা হয়েছে। যার ফলে স্বাভাবিকভাবেই রাজ্য সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি হয়েছে।
আইনি রুলিং পরিবর্তনের আবেদন জানাল রাজ্য সরকার
অবশ্য, সুপ্রিম কোর্টের এই রায়কে ঘিরে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে নতুন আবেদনও করা হয়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, রাজ্য সরকার ইতিমধ্যেই শীর্ষ আদালতে আবেদন করেছে ডিএ বকেয়া সংক্রান্ত অন্তর্বর্তী নির্দেশের ব্যাখ্যা চেয়ে। অর্থাৎ রুলিং পরিবর্তনের আর্জি জানিয়ে নতুন করে আইনি লড়াই শুরু করেছে নবান্ন। কিন্তু এর মধ্যেই রাজ্য সরকার বকেয়া মেটানোর কাজ চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানা গেছে।
বকেয়া মেটাতে প্রযুক্তির আশ্রয়
এদিকে ডিএ বকেয়া মেটানোর জন্য নতুন প্রযুক্তি ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। জানা যায়, এই লক্ষ্যে একটি বেসরকারি সংস্থাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে প্রযুক্তি তৈরি করার জন্য। তবে এই প্রযুক্তির মাধ্যমে সরকারি কর্মচারীদের নিজেদের চাকরির কার্যকালের তথ্য জানাতে হবে। এই তথ্য সরবরাহ করা হবে ইন্টিগ্রেটেড ফিনানশিয়াল ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (IFMS) পোর্টালে।
কর্মীদের তথ্য জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া
এক্ষেত্রে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ২০০৯ সালের জুলাই থেকে ২০১৯ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত নিজেদের কার্যকাল সম্পর্কিত তথ্য আপলোড করতে হবে। এই তথ্য পাওয়ার পর অর্থ দফতর নির্ধারণ করতে পারবে কার কতটুকু বকেয়া ডিএ প্রাপ্য রয়েছে। প্রযুক্তির সাহায্যে দ্রুত এই হিসাব নির্ধারণ সম্ভব হবে বলে রাজ্য সরকার মনে করছে।
বকেয়া মেটানোর কাজ কতদূর এগিয়েছে?
জানা গিয়েছে, প্রথম ধাপে তথ্য সংগ্রহ চলছে। বিভিন্ন দফতর এবং পাশাপাশি সরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে কর্মচারীর সংখ্যা জানতে চাওয়া হয়েছে। সরকার ইতিমধ্যে কিছু কর্মচারীর বকেয়া ডিএ মেটানোর প্রক্রিয়া শুরু করেছে। কিন্তু আইনি প্রক্রিয়া ও প্রযুক্তিগত প্রস্তুতির কারণে পুরো বকেয়া মেটাতে এখনও সময় লাগবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
দীর্ঘদিনের আইনি লড়াই
উল্লেখ্য, এই ডিএ মামলা গত প্রায় দুই বছরের বেশি সময় ধরে সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন ছিল। গত ২০১৬ সাল থেকেই ডিএ মামলার আইনি লড়াই শুরু হয়েছিল। এরপর স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইবুনাল (স্যাট), কলকাতা হাইকোর্ট হয়ে মামলাটি পৌঁছেছে সুপ্রিম কোর্টে। যদিও স্যাটে প্রথমে রাজ্য সরকার জয় পেলেও, পরবর্তী ধাপে প্রতিটি মামলায় জয় পেয়েছেন সরকারি কর্মচারীরাই।
কত টাকা বকেয়া রয়েছে?
জানা গিয়েছে, বর্তমানে প্রায় ৪ থেকে ৫ লক্ষ কর্মচারীর ডিএ বকেয়া রয়েছে। অনুমান করা হচ্ছে পুরো বকেয়া মেটাতে সরকারকে কয়েক হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করতে হবে। যার ফলে সরকারের ওপর আর্থিক চাপ ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাবে।
রাজ্য সরকারের অবস্থান কী?
রাজ্য সরকার স্পষ্ট জানিয়ে এসেছে, তারা আর্থিক সংকটের কারণে একসঙ্গে এত বিপুল অর্থ দিতে সক্ষম নয়। তাই ধাপে ধাপে বকেয়া মেটানোর পদ্ধতি অনুসরণ করার কথা ভাবছিল তারা। তবে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ কার্যকর করতে বাধ্য হয়েছে রাজ্য সরকার।
মোটের উপর বলা যায়, পশ্চিমবঙ্গের সরকারি কর্মীদের ডিএ মামলা এখনও একটি জটিল ও গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ে রয়েছে। এদিকে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের মধ্যে দিয়ে বকেয়া মেটানোর কাজ শুরু হলেও, রাজ্য সরকারের বিভিন্ন আইনি পদক্ষেপ এবং প্রযুক্তিগত প্রক্রিয়া বিষয়টিকে আরও দীর্ঘায়িত করছে। এখন দেখার বিষয় যে, আদালত কত দ্রুত এই মামলার চূড়ান্ত রায় দেয় এবং কর্মচারীরা তাদের প্রাপ্য বকেয়া কবে পান।
বিঃদ্রঃ এই প্রতিবেদনটি বিভিন্ন অনলাইন প্রকাশিত তথ্যের ভিত্তিতে প্রস্তুত করা হয়েছে। কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে নিজ দায়িত্বে বিস্তারিত যাচাই করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।