বাংলা শস্য বিমা নিয়ে বিরাট সুসংবাদ, বঙ্গবাসীর জন্য দারুণ উপহার মমতার – WB Bangla Sashya Bima
WB Bangla Sashya Bima: পশ্চিমবঙ্গের কৃষকদের জন্য ফের একবার সুখবর নিয়ে এল রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছেন যে, রাজ্যের ‘বাংলা শস্য বিমা’ প্রকল্পের অধীনে ১ লক্ষেরও বেশি চাষি ইতিমধ্যেই ১৫৮ কোটি টাকার আর্থিক সহায়তা পেতে শুরু করেছেন। এই টাকা সরাসরি চাষিদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা দেওয়া হচ্ছে। আসুন তাহলে আরও বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক কীভাবে এই সুবিধা পাবেন।
সম্পর্কিত পোস্ট
এক রিচার্জে সারা বছর আনলিমিটেট পরিষেবা জিও-র, অফার হাতছাড়া নয়! Jio 1 Yaer Unlimited Offer 2025চলতি মরসুমে কৃষকদের ক্ষতি ও সরকারের পদক্ষেপ
২০২৫ সালের রবি মরসুমে আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনার কারণে বহু কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এই অবস্থায়, রাজ্য সরকার তাঁদের পাশে দাঁড়িয়ে বাংলা শস্য বিমা প্রকল্পের মাধ্যমে বড় সহায়তা ঘোষণা করেছে। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, “এই প্রকল্পের মাধ্যমে আমরা চাষিদের পাশে থাকার অঙ্গীকার পালন করছি।”
মুখ্যমন্ত্রীর বার্তা
অত্যন্ত আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি যে আজ রাজ্য সরকার ‘বাংলা শস্য বিমা’ প্রকল্পের আওতায় বাংলার ১ লক্ষেরও বেশি চাষীকে সরাসরি তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে ১৫৮ কোটি টাকা আর্থিক সহায়তা প্রদান শুরু করল। আমি বাংলার সকল কৃষক ও তাঁদের পরিবার-পরিজনকে জানাই আন্তরিক অভিনন্দন।
বাংলা শস্য বিমা প্রকল্প কী?
বাংলা শস্য বিমা পশ্চিমবঙ্গ সরকারের একটি গুরুত্বপূর্ণ কৃষি-সহায়ক প্রকল্প যা ২০১৯ সালে চালু হয়েছিল। প্রকল্পটির মূল উদ্দেশ্য হলো কৃষকদের আর্থিক ঝুঁকি কমানো এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা অন্য কারণে ফসলের ক্ষতি হলে তাঁদের পাশে দাঁড়ানো।
প্রধান বৈশিষ্ট্য:
- কৃষকদের কোনো প্রিমিয়াম দিতে হয় না
- বিমার সম্পূর্ণ খরচ বহন করে রাজ্য সরকার
- ক্ষতিগ্রস্ত চাষিদের সরাসরি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা স্থানান্তর
- আলু, ধান সহ একাধিক ফসলে প্রযোজ্য
২০২৫ সালে কাদের দেওয়া হচ্ছে এই সহায়তা?
চলতি রবি মরসুমে যাঁরা আলু চাষে ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন, মূলত সেই কৃষকদেরই এই আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে। তবে পর্যায়ক্রমে অন্যান্য ফসলের কৃষকরাও এই প্রকল্পের আওতায় সুবিধা পাবেন বলে আশা করা যায়।
এখন পর্যন্ত কত টাকা দেওয়া হয়েছে?
রাজ্য সরকার সূত্রে জানা গিয়েছে, এই প্রকল্প চালুর পর থেকে আজ পর্যন্ত মোট ৩,৭২০ কোটি টাকারও বেশি আর্থিক সহায়তা কৃষকদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। প্রতি বছর হাজার হাজার কৃষক এই প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছেন।
বাংলা শস্য বিমা প্রকল্পে কীভাবে নাম নথিভুক্ত করবেন?
- নিজের ব্লকের কৃষি দপ্তরে গিয়ে ফর্ম সংগ্রহ করুন
- প্রয়োজনীয় নথি যেমন জমির দলিল, আধার কার্ড, ব্যাঙ্কের কাগজপত্র সঙ্গে রাখুন
- ফর্ম পূরণ করে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে জমা দিন
- আবেদনের পর মোবাইলে এসএমএস বা কনফার্মেশন পাবেন
এই প্রকল্প কেন গুরুত্বপূর্ণ?
রাজ্যের বহু কৃষক এখনও চাষের উপর নির্ভরশীল। প্রাকৃতিক দুর্যোগ, অনিয়মিত বৃষ্টি বা অতিরিক্ত গরমের কারণে ফসল নষ্ট হয়ে যায়। বাংলা শস্য বিমা প্রকল্প তাঁদের সেই ক্ষতির কিছুটা হলেও মোকাবিলা করতে সাহায্য করে। এতে যেমন আর্থিক সহায়তা মেলে, তেমনই কৃষকদের আত্মবিশ্বাস বাড়ে এবং তাঁরা ভবিষ্যতে আবার চাষে আগ্রহী হন।
‘বাংলা শস্য বিমা’ প্রকল্পের অধীনে রাজ্য সরকারের এই পদক্ষেপ নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। বিশেষ করে বর্তমান সময়ে যখন কৃষকরা নানা সমস্যার মুখে পড়ছেন, তখন এই ধরণের সরাসরি সহায়তা তাঁদের জন্য সত্যিই আশার আলো। মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে রাজ্য সরকার কৃষকদের পাশে থাকছে—এই বার্তা নিঃসন্দেহে আগামী দিনে রাজ্যের কৃষি উন্নয়নে আরও গতি আনবে।