অবশেষে সুরাহা! OBC জট কাটিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের বড় সিদ্ধান্ত, এক মাসের মধ্যে শেষ হবে কাউন্সেলিং – WB OBC Case Update 2025
WB OBC Case Update 2025: দীর্ঘদিন ধরে ওবিসি নিয়ে নানা সমস্যা দেখা যাচ্ছে। হাইকোর্ট থেকে সুপ্রিম কোর্ট, তবুও কোনো সুরাহা মিলেনি। দীর্ঘ টানাপোড়েনের পর অবশেষে জয়েন্ট এন্ট্রান্স মেডিক্যাল-স্নাতকোত্তর (JEE PG 2024) পরীক্ষায় OBC সংক্রান্ত সমস্যার অবসান ঘটাল কলকাতা হাইকোর্ট। এবার নতুন করে ওবিসি প্যানেল গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি কৌশিক চন্দ, সঙ্গে এক মাসের মধ্যে কাউন্সেলিং সম্পন্ন করারও নির্দেশ দিয়েছেন। এই নির্দেশে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন বহু হতাশ প্রার্থী।
সম্পর্কিত পোস্ট
এক রিচার্জে সারা বছর আনলিমিটেট পরিষেবা জিও-র, অফার হাতছাড়া নয়! Jio 1 Yaer Unlimited Offer 2025ঘটনার পেছনের প্রেক্ষাপট জেনে নেওয়া যাক
২০২৪ সালের JEE পরীক্ষায় উত্তীর্ণ বহু ছাত্রছাত্রী কাউন্সেলিংয়ে ডাক পাননি। তাঁদের অভিযোগ ছিল, যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও কাউন্সেলিংয়ের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়েছেন তারা। এই অভিযোগ নিয়েই আদালতের দ্বারস্থ হন আহু পরীক্ষার্থীরা, যার মধ্যে অন্যতম ছিলেন আদ্রিকা মিত্র ও মামণি সাউ। তাঁদের পক্ষ থেকে আইনজীবী রঘুনাথ চক্রবর্তী ও সৈকত ঠাকুর মামলাটি পরিচালনা করে থাকেন।
কেন থমকে গেল ছিল কাউন্সেলিং?
আদালতে উপস্থিত স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দফতরের ডিরেক্টর জানান, ২০১০ সালের পর থেকে OBC শংসাপত্র বাতিল হয়ে যায় এবং তাই কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া স্থগিত রাখা হয়। কিন্তু বিচারপতি কৌশিক চন্দ স্পষ্টভাবে জানান যে, ২০১০ সালের আগের শংসাপত্র বৈধ এবং তার ভিত্তিতেই নতুন প্যানেল গঠন করতে হবে।
নতুন প্যানেল গঠনের নির্দেশ হাইকোর্টের
এদিন বিচারপতি চন্দ বলেন, “২০১০ সালের পূর্ববর্তী OBC শংসাপত্র বৈধ, এবং সেই প্রার্থীদের নিয়েই গঠন করতে হবে নতুন ওবিসি প্যানেল।” হাইকোর্ট আরও জানিয়েছে, রাজ্যের স্বাস্থ্য বিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয় এবং স্বাস্থ্য দফতরকে ৪০ দিনের মধ্যে পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। ৭ শতাংশ আসন সংরক্ষিত থাকবে ওবিসি প্রার্থীদের জন্য। পুরোটাই স্পষ্ট করে দেয় হাইকোর্ট।
কাউন্সেলিং এর সময় বেধে দেয় হাইকোর্ট
আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, নতুন প্যানেল গঠনের পরে রাজ্য জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ডকে ওয়েবসাইটে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে ওবিসি শংসাপত্র চেয়ে নিতে হবে। পরীক্ষার্থীদের নিজেদের শংসাপত্র আপলোড করার জন্য নির্দিষ্ট পোর্টালে জানাতে হবে। এরপর তৈরি হবে মেধাতালিকা এবং তা বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠাতে হবে। তালিকা পাওয়ার পর এক মাসের মধ্যে শেষ করতে হবে কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া।
হতাশা কাটিয়ে আশার আলো
এই সিদ্ধান্ত বহু ছাত্রছাত্রী ও অভিভাবকদের মধ্যে আশার সঞ্চার করেছে। দীর্ঘ সময় ধরে যারা সিস্টেমের জটিলতায় পিছিয়ে পড়ছিলেন এই প্রক্রিয়া , তাঁদের জন্য এটি এক সুবর্ণ সুযোগ। ছাত্রছাত্রীদের উদ্দেশ্যে একটাই বার্তা—এখনই প্রস্তুতি নিন এবং প্রয়োজনীয় নথিপত্র আপডেট করে রাখুন।
শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে এই গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের ফলে ভবিষ্যতে এমন সমস্যার পুনরাবৃত্তি এড়ানো সম্ভব হবে বলেই মনে করছেন শিক্ষাবিদরা। এবার দেখা যাক, নির্দেশিত সময়সীমার মধ্যে কতটা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয় এই প্রক্রিয়া। আপডেট পেতে নজর রাখুন সরকারি ওয়েবসাইটে এবং আমাদের প্ল্যাটফর্মে।
এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ আপডেট আপনার মোবাইলে পেতে আমাদের নিউজেলেটারে যুক্ত হন।