Work From Home Tips: ঘরে বসে কাজ করার ৭টি সোনার মত অভ্যাস
Work From Home Tips: করোনার পর থেকে বহু মানুষ ঘরে বসে কাজ করছেন। আমরা সকলে জানি, অফিসে না গিয়ে বাড়ি থেকে কাজ করার মধ্যে যেমন অনেক সুবিধা আছে, পাশাপাশি কিছু অসুবিধাও রয়েছে। বাড়ির আরামদায়ক পরিবেশ কখনো কখনো কাজের মনোযোগ নষ্ট করে দেয়। তাই ঘরে বসেও কাজের দক্ষতা ধরে রাখতে দরকার কিছু ভালো অভ্যাস গড়ে তোলা। তাই তো আজকের প্রতিবেদনে আমরা ঘরে বসে কাজ করার কিছু টিপস দিতে যাচ্ছি। আপনি যদি বিস্তারিত জানতে চান তাহলে শেষ পর্যন্ত পড়বেন।
সম্পর্কিত পোস্ট
এক রিচার্জে সারা বছর আনলিমিটেট পরিষেবা জিও-র, অফার হাতছাড়া নয়! Jio 1 Yaer Unlimited Offer 2025১. সকাল সকাল উঠে দিন শুরু করে দিন
সাধারনত ঘুম থেকে তাড়াতাড়ি উঠলে আপনার দিনটা বড় হয় এবং প্রোডাক্টিভ থাকেন। সকালে উঠে তৈরি হয়ে কাজে বসলে মন চনমনে থাকে ও কাজের প্রতি আগ্রহ বেড়ে যায়।
২. অবশ্যই নির্দিষ্ট রুটিন মেনে চলুন
যেভাবে অফিসে যাওয়ার একটা সময় থাকে, তেমনি ঘরে বসে কাজ করার জন্যও একটা রুটিন থাকা জরুরি। প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময় ঘুম থেকে ওঠা, স্নান করে তৈরি হওয়া ও নির্দিষ্ট সময়ে কাজে বসার অভ্যাস গড়ে তুলুন।
৩. কাজের জন্য নিদিষ্ট জায়গা নির্ধারণ করুন
সাধারণত বিছানা বা সোফায় বসে কাজ করলে মনোযোগ কমে যায়। তাই বাড়িতে একটা ছোট কর্নার তৈরি করুন যেখানে কেবল কাজই করবেন। নিদিষ্ট জায়গায় চেয়ারে বসে ডেস্কে কাজ করাই সবচেয়ে ভালো।
৪. টু-ডু লিস্ট বানিয়ে কাজ করুন
প্রতিদিন সকালে ওঠে কাজের একটা তালিকা তৈরি করে নিন। কোন কাজটি আগে করবেন, কোনটি পরে—তা প্ল্যান করে নিলে ভুলভ্রান্তি হওয়ার সম্ভাবনা কম এবং এমনকি সব কিছু সময়মতো শেষ হয়।
৫. ফোন ও সোশ্যাল মিডিয়া থেকে বিরতি নিন
এটাও সকলের জানা ফোন বা সোশ্যাল মিডিয়ায় সময় নষ্ট হলে কাজ ব্যাহত হয়। কাজের সময় ফোন সাইলেন্ট রাখুন এবং নোটিফিকেশন বন্ধ করে রাখতে পারেন। প্রয়োজনে স্ক্রিন টাইম লিমিট সেট করুন।
৬. কাজ চলাকালিন মাঝেমধ্যে ছোট ব্রেক নিন
একটানা কাজ না করে প্রতি ১-২ ঘণ্টা পর ৫-১০ মিনিট বিরতি নিন। এই সময়ে একটু হাঁটুন, জল পান করুন বা চোখ বিশ্রাম দিন। এতে কাজের গতি বাড়বে এবং মাথাও ঠান্ডা থাকবে। কাজে মনোযোগ বৃদ্ধি পাবে।
৭. কাজের জন্য নিদিষ্ট সময়সীমা নির্ধারণ করুন
ওয়ার্ক ফ্রম হোমে ওভারটাইম করা খুব সাধারণ ব্যাপার। কিন্তু সেটি দীর্ঘমেয়াদে ক্ষতিকর হতে পারে। কাজের একটা সময়সীমা ঠিক করুন এবং তার পরে সম্পূর্ণভাবে রিল্যাক্স করুন। এতে আপনার পরের দিনের কাজ আরও ভালো হবে।